জীবনের বড় শিক্ষক বাবা: তিশা
বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা। টিভি নাটকের মাধ্যমে তিনি তার অভিনয় জীবন শুরু করেন। খুব অল্প সময়েই তিনি সব শ্রেণীর দর্শকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেন।
এছাড়াও তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন এবং ১০টি মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার অর্জন করেছেন। পৃথিবীতে যারা সফল কিংবা ব্যর্থ, তাদের প্রত্যেকের জীবনে শিক্ষকের গভীর প্রভাব রয়েছে। কারণ একজন শিক্ষক তার ছাত্র-ছাত্রীদের বরাবরই সঠিক পথে পরিচালিত করার চেষ্টা করেন। যাতে তার ছাত্র-ছাত্রীরা উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়তে পারেন।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা গনমাধ্যমকে তার কিছু অনুভূতি শেয়ার করেছেন। রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে পড়াশোনা করেছেন তিনি। এই প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন শিক্ষক তার জীবনে অবদান রেখেছেন বলে জানিয়েছেন তিশা।
তিনি বলেন, ‘জীবনে অনেক শিক্ষকের সান্নিধ্য পেয়েছি। ভিকারুননিসায় আমার প্রিয় শিক্ষক ছিলেন হামিদ আলী। তিনি আমাদের হাতে-কলমে শিক্ষা দেন নাই। কিন্তু যে প্রসিডিউরের মধ্য দিয়ে শিক্ষা দিয়েছেন, তা এখনো জীবনে কাজে লাগছে।’
একই প্রতিষ্ঠানের আরেকজন শিক্ষকের কথা বিশেষভাবে স্মরণ করেছেন তিশা। তিশা বলেন, ‘আরেকজন শিক্ষকের কথা না বললেই নয়। তিনি হলেন জামানারা আপা। ভিকারুননিসায় পড়তে গিয়ে তাকে পেয়েছি। আপা আমাদের অর্থনীতি পড়াতেন। জামানারা আপা আমাকে অনেক বেশি সাহায্য করেছেন।
আমার বাবা মারা যাওয়ার পর স্কুল থেকে আমাকে যতটুকু সাপোর্ট করা হয়েছে, তার সব গুলোতে তার অবদান ছিলো। আজকে শ্রদ্ধার সঙ্গে আপাকে স্মরণ করছি। পৃথিবীর সকল শিক্ষকদের জন্য শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।’
একাডেমিক শিক্ষাই শেষ কথা নয়— একথা গভীরভাবে বিশ্বাস করেন তিশা। পরিবার থেকেই মানুষ জীবনের বড় শিক্ষা গ্রহণ করে। তাই তিশার জীবনের বড় শিক্ষক তার বাবা-মা।
তিশা বলেন, ‘শিক্ষা মানুষের পুরো জীবনের বিষয়। আমার জীবনের শিক্ষক আমার বাবা। তিনি আজ বেঁচে নেই। তার শিক্ষাই আমাকে আজকের অবস্থানে নিয়ে এসেছে। তার শিক্ষা এখনো আমাকে স্থির থাকতে সাহায্য করছে।
জীবনের দ্বিতীয় শিক্ষক আমার মা। আমার বাবা-মা আমার জীবনের মেন্টর, টিচার।’ করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘ বিরতিতে ছিলেন তিশা। বর্তমানে তিনি দুর্গাপূজার বিশেষ নাটক ‘বিজয়া’ নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। নাটকের গল্প লিখেছেন শোয়েব চৌধুরী আর নির্মাণ করেছেন আবু হায়াত মাহমুদ।