‘অভিনেত্রীরা আপনাদের বিকৃত রুচির খোরাক নয়’ -অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি
ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা পরীমনিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার ঘটনার বিচার দাবিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি।
সোমবার সকালে নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে দেয়া ওই স্ট্যাটাসে তিনি বলেছেন, মিডিয়ার মানুষদের জীবন আপনাদের মতো হবে না তো! আপনাদের বিকৃত রুচির খোরাক তারা নয়, এটা বুঝতে হবে এবং মানতে হবে।
পরীমনি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পরীমনি কয়টা প্রেম করবে, কয়টা বিয়ে করবে, কয়টা ডিভোর্স করবে, কার সঙ্গে ডেট করবে, কে প্রিয় হবে, কাকে ঘৃণা করবে- এটা একান্তই তার ব্যক্তিগত বিষয়।
খুশি বলেন, অনেক বড় বড় ক্ষমতাধরদের সন্তানরা বিদেশে বসে কী কী করছে, তা সবাই না জানলেও, কেউ কেউ জানে। মিডিয়ার মানুষদের জীবন আপনাদের মতো হবে না তো! তাদের হাসি/কান্না/সৌন্দর্য্য/আনন্দ/পছন্দ একটু হলেও অন্য বোধের জন্যই তো, ভিন্ন ভিন্ন চরিত্র, এমন বাস্তব করে রূপায়ন করতে পারে। আপনাদের বিকৃত রুচির খোরাক তারা নয়, এটা বুঝতে হবে এবং মানতে হবে।
অভিনেত্রী আরও বলেন, যে দেশে করোনায় হাজার হাজার মানুষ কর্ম হারা হয়েছে। পরিবারের নিকটজনকে হারিয়ে পাগলপ্রায়, হাসপাতালগুলোতে রোগী আর রোগীর স্বজনদের নানান অসমঞ্জস্যতায় দিশেহারা অবস্থা, সে দেশে রাতের বেলায়, স্ট্যাটাস ক্লাবগুলো আলোকিত হচ্ছে, সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত। টাকা এবং ক্ষমতা ব্যবহারে মরিয়া হয়ে উঠে সুইট ভাইয়ারা! ‘এদের কোনো বদনাম নাই! স্ত্রী-সন্তান রেখে যারা ক্লাবে/বাগান বাড়িতে রোজ অসভ্যতা উগড়ে দেয়, তাদের জন্য কোনো আইন নাই, বদনামি নাই!! সকালে স্যুট-টাইয়ের আড়ালে ঢাকা পড়ে সব।’
তিনি মনে করেন, দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে যদি মানবিক প্রবৃত্তিগুলোর উন্নয়ন না হয়, তাহলে সবটাই বৃথা আসলে। মানুষ ছাড়া রাষ্ট্রীয় অভ্যন্তরীণ কোনো অবয়ব হয় কি? সে মানুষ যদি পঁচে যায়/গলে যায়, তাহলে দেশ অসুস্থ হবে বৈকি। সে পঁচা-গলা দুর্গন্ধে সবাই আক্রান্ত হবে, তা হোক আজ, না হয় কাল।
খুশি বলেন, পরীমনির ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হোক, দোষী যত ক্ষমতাধর হোক, আইন তাকে চিনে নিক, এটা বিনীত প্রার্থনা। ‘ক্ষমতাধর, বীরপুরুষ, ঘোর লাগা সুইট ভাইয়াদের প্রতি আকুল আবেদন, ক্ষমতা, পেশীশক্তি, কিংবা টাকা দিয়ে নয়, প্রেম দিয়ে মানুষ/সম্পর্ক অর্জন করেন! নতুবা আইন আপনাকে আজ চিনতে না পারলেও, আমজনতা ঠিকই চিনে রাখছে, প্রতিদান দিতে তারা কার্পণ্য করবে না! হয়তো বা দুদিন দেরি হবে!’